শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এ আর মহিলা কলেজ, বাজিতপুর, মনিরামপুর, যশোর । কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় (১৯৯৮-২০০১) এর মধ্যে । যখন কলেজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন এলাকাবাসির মনে আনন্দের জোয়ারে শেষ ছিল না । আমরা অহংকার করে বলতাম আমাদের বাড়ির পাশে একটি মহিলা কলেজ আছে।
এলাকা বাসী স্বপ্ন দেখতে শুরু করল কলেজ নির্মিত হচ্ছে । এটা এলাকা বাসীর জন্য আনন্দের জোয়ারে পরিণত হল । কিন্তু দুঃখের বিষয় কলেজটির বয়স ২০থেকে ২২বছরে পদার্পণ করল কিন্তু এম পি ও (MPO) হলনা । ২০ থেকে ২২ বছরে যদি এম পিও না হয়, তাহলে অধ্যক্ষ, প্রভাষক, কর্মচারিদের কষ্টের শেষ কোথায়।
অনেকে অবসরে যাওয়ার মত হয়ে যাচ্ছে , আবার অনেকের চাকরির প্রবেশের বয়স ও এখানে শেষ হয়েছে,যার কারনে তারা অন্য চাকরিতে যেতে পারছে না। অর্থাৎ তাদের জীবন যৌবন এই কলেজেই ব্যয় করছে শুধুমাত্র এম পি ও এর আশায় । কিন্তু এমপিও নামক সোনার হরিণ টির মুখ আজ ও তারা দেখতে পেলনা ।
এই ব্যাথায় শুধু শিক্ষক কর্মচারীরা ব্যাথিত নয় আমরা এলাকাবাসী ব্যাথিত । এই কলেজে যারা চাকরি করে এবং তাদের পরিবারের রয়েছে প্রচুর ধৈর্য্য ।
কলেজের সকল শিক্ষক মন্ডলীর মুখের দিকে তাকালে বুঝা যায় তাদের মুখের কষ্টের ছাপ এবং মনের ভিতরে লুকানো থাকা কষ্টগুলো ধামাচাপা দিয়ে রাখে ।হাজারো কষ্ট নিয়ে বাহিরের জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলে এমন কি পরিবারের সাথে বিভিন্ন নাটকীয় কথাবার্তার মাধ্যমে তাদের চলতে হয় ।
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এ আর মহিলা কলেজটি এমপিও করে শিক্ষকদের দুঃখ লাঘব করবেন এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি পুরন করবেন ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।